Wednesday, October 28, 2015

কিডনির প্রতিনিয়ত ক্ষতি

       যে দশটি কারনে কিডনির  প্রতিনিয়ত  ক্ষতি হচ্ছে 

আসসালামু আলাইকুম! কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালো। আজ আমি যেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব, তা হল   যে দশটি কারনে কিডনি  প্রতিনিয়ত  ক্ষতি হচ্ছে  । দেখুন এর একটি ভিডিও ।


আগের পোস্টটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন । 


সূএ ঃ বাংলা ভিডিও নিউজ 












Sunday, October 25, 2015

ঘানায় শিক্ষাব্যবস্থা

 ঘানায় শিক্ষাব্যবস্থা থেকে ইংরেজি মাধ্যমকে বিদায়




আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন আপনারা সবাই আশাকরি ভালো আছেন।   আমি আজকে আলোচনা করবো শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে । আফ্রিকার দেশ ঘানা নিজেদের শিক্ষাব্যবস্থা থেকে ইংরেজি মাধ্যমকে অপসারণের উদ্যোগ নিয়েছে। সম্প্রতি দেশটির শিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক অপোকু এগিম্যাং গণমাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেন।






গতকাল শুক্রবার আয়োজিত এক আলোচনা সভায় শিক্ষামন্ত্রী এগিম্যাং বলেন, ‘দেশে প্রচলিত ইংরেজি শিক্ষামাধ্যম শুধুমাত্র উচ্চ শ্রেণীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ এবং জাতি গঠনের ক্ষেত্রে নিম্ন কর্মজীবী মানুষ এ ক্ষেত্রে অনেকাংশেই পিছিয়ে পড়ছেন। তাই তাদের কথা মাথায় রেখে আমরা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে যাচ্ছি।

শিক্ষামন্ত্রী এগিম্যাং আরো বলেন, ‘আমি ইংরেজি মাধ্যমকে শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বাদ দেওয়ার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমার বিশ্বাস যদি আমরা এটা করতে পারি তাহলে পুরো দেশের চেহার খুব শিগগির পাল্টে যাবে।

দেশটির শিক্ষাব্যবস্থা থেকে ইংরেজি শিক্ষামাধ্যমকে পুরোপুরি বাদ দিতে কয়েক মাস ধরেই সরকারি উচ্চপর্যায়ে আলোচনা চলছিল। তবে মূল কর্মপরিকল্পনার অভাবে তা কার্যকর হতে বেশ খানিকটা সময় লেগে যেতে পারে।


এদিকে চলতি বছরের শুরুর দিকে আফ্রিকার আরেক দেশ তানজানিয়া ইংরেজি মাধ্যমকে তাদের শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বাদ দিয়েছে।

আগের পোস্টটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন । 

সূএ  ঃ এনটিভি 


Tuesday, October 13, 2015

ই-কমার্স সাইট

সারা বিশ্বের সুপরিচিত ব্র্যান্ডের পণ্য নিয়ে এলো বাংলাদেশী ই-কমার্স সাইট ।

আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমার নতুন টিউনসে আপনাদের সবাইকে সাগতম । এখন আমি ই- কমার্সের একটা সাইট নিয়ে আলোচনা করবো । Branoo হচ্ছে অনলাইনে প্রসাধনী কেনাকাটার একটি ই-কমার্স সাইট যার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই আপনার পছন্দের প্রসাধনী সামগ্রী কিনতে পারবেন। Branooতে আপনি পাবেন দুবাই থেকে আমদানিকৃত নামীদামী কোম্পানির জেনুইন প্রসাধনী সামগ্রী।


 “বাজারে ক্রেতাদের অনেক সময় নকল প্রসাধনী দিয়ে দেয়া হয় যা বিভিন্ন ক্ষতিকর ক্যামিকেল দ্বারা তৈরি এবং সেগুলো ব্যাবহার করে আপনি আর্থিক-শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এই দুরাবস্থা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে সাধারণ গ্রাহকের কথা মাথায় রেখে চালু হলbranoo.com যেখানে আপনি পাচ্ছেন বিদেশ থেকে আমদানিকৃত আসল ব্র্যান্ডের প্রসাধনী। Branooতে আপনি পাবেন মহিলা, পুরুষ এবং বাচ্চাদের নানা প্রসাধনী সামগ্রী। Branoo থেকে কেনা প্রসাধনী খুব সহজেই পৌঁছে যাবে আপনার ঘরের দুয়ারে। যদি কোন ব্র্যান্ডের প্রসাধনী পণ্য প্রয়োজন হয় এবং তা যদি www.branoo.com সাইটে না থাকে তাহলে আপনি সেই পণ্যের জন্য সাইট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ পাঠাতে পারেন। তারাই আপনার জন্য সেই প্রসাধনী বিদেশ থেকে নিয়ে আসবে এবং পৌঁছে দেবে আপনার ঘরে
বর্তমানে Branooতে আপনি কেনাকাটা করতে পারবেন দুইভাবে–  ক্যাশ অন ডেলিভারি এবং বিকাশ এর মাধ্যমে। ক্যাশ অন ডেলিভারি এই মুহূর্তে শুধুমাত্র ঢাকা এবং চট্টগ্রামের জন্য প্রযোজ্য। এছাড়া সারা দেশে যেকোনো জায়গায় আপনি যেকোনো পন্য অর্ডার করতে পারবেন বিকাশের মাধ্যমে মুল্য পরিশোধ করে। খুব শিগগিরই অনলাইনে ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও গ্রাহকেরা কেনাকাটা করতে পারবেন।
কোম্পানিটি বলছে, “ভেজাল থেকে মুক্ত হতে Branooর সাথেই থাকুন কারণ গ্রাহক সন্তুষ্টিই আমাদের মূল লক্ষ্য।

বিনা মূল্যে ই-কমার্স সেবা

বিনা মূল্যে ই-কমার্স সেবা দিচ্ছে ই-কমার্স          অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ।


আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমার ই-কমার্স  টিউনসে আপনাদের সবাইকে সাগতম।ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) ২০১৫ সালকে ই-কমার্স বর্ষহিসেবে ঘোষণা করে চালু করছে এ সেবা কেন্দ্র। ই-কমার্স সেবা পেতে হলে ০৯৬১৩ ২২২ ৩৩৩ নাম্বারে যোগাযোগ করে যে কেউ বিনামূল্যে এ কেন্দ্র থেকে ই-কমার্স ব্যবসা সংশ্লিষ্ট তথ্যসহ নানা ধরনের সেবা গ্রহণ করতে পারবে। এ ছাড়াও বিস্তারিত তথ্য (www.e-cab.net) এই ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে এই সেবা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন তথ্য প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার।







বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় পাঁচশত ই-কমার্স ওয়েবসাইট এবং ফেসবুকে কমপক্ষে ৩০০০ পেজ রয়েছে। যার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবাসমূহ অনলাইনে বিক্রি করছেন এমন তথ্য জানিয়েছেন ই-ক্যাব সভাপতি রাজিব আহমেদ।

বাংলাদেশে ই-কমার্স এখনো সেভাবে জনপ্রিয় নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ লক্ষ্য অর্জনে ই-ক্যাব ২০১৫ সালকে ই-কমার্স বর্ষহিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ কয়েকটি বড় শহরেই ই-কমার্স এখনো সীমিত রয়েছে। দেশীয় ই-কমার্স খাতকে গতিশীল করতে হলে সবার আগে ই-কমার্সকে আমাদের গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসপিএবি) প্রেসিডেন্ট আখতারুজ্জামান মঞ্জু, ই-ক্যাবের সভাপতি রাজিব আহমেদ, ই-ক্যাবের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান সারাহ জিতাসহ আরো অনেকে।


Sunday, October 11, 2015

ডিজিটাল বাংলাদেশ

   ডিজিটাল বাংলাদেশ কী এবং কেন?

 

 

 আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালোই আছেন আমি আপনাদের দোয়া ভাল আছিআজকে আপনাদের  সামনে আলোচনা করবো ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে । প্রথমে  রিসালাত বারীর ‍‌'পাঠ্যপুস্তক ই-বুক: একটি প্রশংসনীয় পদক্ষেপ' লেখাটি এবং সে-লেখার সূত্রে গড়ে-ওঠা আলাপচারিতা আমাকে দারুণ অনুপ্রাণিত ও আশাবাদী করেছে। আমাদের বিভিন্ন মত থাকবেই, থাকবে ভিন্ন ভিন্ন ভাবনা ও আগ্রহের পরিসর। আর এই ভিন্নতাগুলোর ভিতরে লেনদেন সামনের দিকে এগিয়ে যাবার জন্য জরুরি। ডিজিটাল বাংলাদেশ এই সময়ের দাবি, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হলে এ-দাবি মেটাতেই হবে। এ উদ্দেশ্যে নানামুখী উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পথে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ ডিজিটাল বাংলাদেশ এর বিভিন্ন দিক নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন, জানতে চান। এই আগ্রহের কথা বিবেচনা করে, বিভিন্ন সময়ে উঠে আসা প্রশ্নগুলো এবং এর উত্তর একসাথে করে একটি ক্ষুদ্র প্রকাশনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী কার্যলয়ের এটুআই প্রোগ্রাম থেকে।
আপনাদের সুচিন্তিত মতামতের প্রত্যাশায় সকল প্রশ্ন একসাথে করে উপস্থাপন করা হলো। আমরা আশা করবো আপনারা এই প্রশ্নগুলোর উপর আপনাদের মতামত প্রদান করবেন পাশাপাশি নতুন কোনো প্রশ্ন থাকলে সেটিও উল্লেখ করবেন। আপনাদের মতামতের ভিত্তিতে এসব প্রশ্ন সংযোজন, বিয়োজন বা নতুন করে লেখা হবে। আপনাদের মতামতের প্রত্যাশায়:
ডিজিটাল বাংলাদেশ
কী এবং কেন?
এটুআই প্রোগ্রাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ঢাকা
ক. ডিজিটাল বাংলাদেশ
১. ডিজিটাল বাংলাদেশ কী?
২. কেন ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণা চালু করা হয়েছে? 
৩. রূপকল্প ২০২১ ও ডিজিটাল বাংলাদেশের সম্পর্ক কী?
৪. ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণার মূল ভিত্তি কি কি?
৫. ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য কৌশলগত অগ্রাধিকার কী?
৬. ডিজিটাল বাংলাদেশকে কেন উন্নয়ন দর্শন বলা হচ্ছে?
৭. বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণা কতোটা বাস্তবসম্মত?
৮. ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনের মাধ্যমে কীভাবে মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে ওঠা সম্ভব?
৯. ডিজিটাল বাংলাদেশ কি নিছক রাজনৈতিক স্লোগান?
১০. বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পথে কতোটুকু এগিয়েছে?
১১. ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য মাঠ-প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে?
১২. জনসংখ্যার একটা বড় অংশ তথ্য-প্রযুক্তি সুবিধার বাইরে থাকলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন কীভাবে সম্ভব? 
১৩. নীরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা কি আদৌ সম্ভব?
১৪. ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে কি কেবলই দামি কম্পিউটার ও উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযুক্তি?
১৫. ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) অবকাঠামো কতোটুকু প্রস্তুত?
১৬. ডিজিটাল বাংলাদেশের উদ্যোগগুলো কি প্রযুক্তি-সুযোগপ্রাপ্ত ও -সুযোগবঞ্চিতদের মাঝে বৈষম্য বাড়িয়ে দেবে?
১৭. ডিজিটাল-বৈষম্য কমিয়ে আনার বিষয়ে কি কোনো পরিকল্পনা আছে?
১৮. ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে এদেশের জনগণ কতোটুকু প্রস্তুত?
১৯. ডিজিটাল বাস্তবায়নের পথে প্রধান চ্যালেঞ্জ কি কি?
খ . ই-প্রশাসন ও জনগণের দোরগোড়ায় সেবা
১. ই-প্রশাসন কী?
২. ই-প্রশাসন ধারণা কেন বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে?
৩.জনগণের দোরগোড়ায় সেবাবলতে কী বুঝবো?
৪. সর্বোস্তরের জনগণের দোরগোড়ায় ই-সেবা পৌঁছে দিতে কী ধরনের অবকাঠামো গড়ে তোলা প্রয়োজন?
৫. জাতীয় ওয়েব পোর্টাল কী? কেন গড়ে তোলা হয়েছে?
৬. বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগ-অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট গড়ে তোলা হয়েছে কেন?
৭. জেলা তথ্যবাতায়ন কী? 
৮. জেলা তথ্যবাতায়নে কী ধরনের তথ্য আছে? এটি হালনাগাদ করার দায়িত্ব কার?
৯. ই-সেবা বলতে কী বুঝানো হচ্ছে?
১০. ই-সেবাকেন্দ্র কী?
১১. জেলা ই-সেবাকেন্দ্র কী?
১২. জেলা ই-সেবাকেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্দেশ্য কী?
১৩. জেলা ই-সেবাকেন্দ্র থেকে জনগণ কোন ধরনের সেবা পাবেন? কীভাবে পাবেন?
১৪. উপজেলা ই-সেবাকেন্দ্র কেন গড়ে তোলা হচ্ছে?
১৫. উপজেলা ই-সেবাকেন্দ্র থেকে জনগণ কোন ধরনের সেবা পাবেন? কীভাবে পাবেন?
১৬. ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র বা ইউআইএসসি কী?
১৭. দেশের সকল ইউনিয়নে ইউআইএসসি কবে স্থাপন করা হয়েছে? এর উদ্দেশ্য কী?
১৮. ইউআইএসসি থেকে বর্তমানে কী সেবা দেয়া হচ্ছে?
১৯. অদূর ভবিষ্যতে ইউআইএসসিতে কী সেবা অন্তর্ভূক্ত করা হবে?
২০. গ্রামীণ মানুষের দোরগোড়ায় সেবা নিশ্চিত করতে ইউআইএসসি কী ভূমিকা পালন করছে?
২১. বিদ্যুত সংযোগহীন ইউনিয়নে কীভাবে ইউআইএসসি পরিচালিত হচ্ছে?
২২. ইউআইএসসি উদ্যোক্তা কারা হয়েছেন?
২৩. ইউআইএসসি ব্লগ কী? কেন গড়ে তোলা হয়েছে?
২৪. ইউআইএসসি টেকসই করার জন্য কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে?
২৫. সরকারি ও বেসরকারি কোন কোন প্রতিষ্ঠান ইউআইএসসি নিয়ে কাজ করছে?
২৬. উপজেলা সদর বা গ্রামে বসবাসকারীরা কীভাবে ই-সেবাকেন্দ্রসমূহের সুবিধা পাবেন?
২৭. গ্রামীণ নারীর ই-সেবাপ্রাপ্তি ও ক্ষমতায়নে ইউআইএসসি কী ভূমিকা রাখবে?


গ . এটুআই প্রোগ্রাম
১. এটুআই প্রোগ্রাম কী? কবে থেকে চালু হয়েছে? 
২. ডিজিটাল বাংলাদেশ ও এটুআই প্রোগ্রামের সম্পর্ক কী?
৩. এটুআই প্রোগ্রামের প্রধান লক্ষ্যগুলো কি কি?
৪. এটুআই কোন কোন খাতে কাজ করছে?
৫. ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে এটুআই কী ধরনের সহায়তা প্রদান করে? 
৬. প্রশাসনে দক্ষতা, কার্যকারিতা, স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে এটুআই কেন তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার উৎসাহিত করে? 
৭. এটুআই ওয়েবসাইটে কী ধরনের তথ্য পাবেন? 
৮. এটুআই প্রোগ্রাম লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সচরাচর কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়?
ঘ. জাতীয় ই-প্রশাসন অবকাঠামো
১. জাতীয় ই-প্রশাসন অবকাঠামো বা এনইএ কী?
২. জাতীয় ই-প্রশাসন অবকাঠামো বাস্তবায়ন করছে কোন কোন প্রতিষ্ঠান?
৩. জাতীয় ই-প্রশাসন অবকাঠামো কীভাবে জনগণের দোরগোড়ায় উন্নত সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করবে?
৪. জাতীয় ই-প্রশাসন অবকাঠামো বাস্তবায়নে কতোদিন সময় লাগবে?
ঙ. অনুকূল নীতি ও আইনগত কাঠামো
১. ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সহায়ক কি কি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে?
২. ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে কি কি আইনগত উদ্যোগ নেয়া আবশ্যক?
৩. সস্তায় দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়ার জন্য কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে?
৪. তৃণমূল পর্যমত্ম ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করতে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে?
৫. ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিত করতে কী ধরনের সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে?
চ. ডিজিটাল কনটেন্ট
১. ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য মাতৃভাষায় কনটেন্ট তৈরি করা প্রয়োজন কেন?
২. ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য কনটেন্ট চাহিদা কীভাবে পূরণ করা সম্ভব?
৩. জাতীয় ই-তথ্যকোষ কী?
৪. জাতীয় ই-তথ্যকোষ প্রণয়নের উদ্দেশ্য কী?
৫. জাতীয় ই-তথ্যকোষে কী কনটেন্ট আছে?
৬. জাতীয় ই-তথ্যকোষ প্রণয়নে কোন কোন প্রতিষ্ঠান কাজ করছে? 
৭. জাতীয় ই-তথ্যকোষের উন্নয়নে কী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে?
৮. মোবাইল ফোনে বাংলা চালুর জন্য কী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে?
ছ. শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার
১. এদেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষার কী ধরনের সুবিধা আছে?
২. শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের পেছনে যৌক্তিকতা কী? 
৩. শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার কী পরিবর্তন আনতে পারে?
৪. শিক্ষায় তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য এযাবৎ কি কি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে?
৫. মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম কী?
৬. মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম কীভাবে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে?
৭. মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমে ব্যবহারোপযোগী ডিজিটাল কনটেন্ট কে বা কারা তৈরি করছেন?
৮. সারাদেশের শিক্ষকগণ কীভাবে ডিজিটাল কনটেন্ট দেখতে বা ব্যবহার করতে পারবেন?
৯. ই-বুক কী?
১০. বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ই-বুক কতোটা প্রয়োজনীয়?
১১. সরকারিভাবে ই-বুক প্রণয়নের ক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কী উদ্যোগ নিয়েছে?
জ. সহজসাধ্য বা কুইক-উইন উদ্যোগ
১. সহজসাধ্য উদ্যোগ কী?
২. কী উদ্দেশ্যে সহজসাধ্য উদ্যোগগুলো নেয়া হয়েছে?
৩. সহজসাধ্য উদ্যোগের আওতায় জনগণ এ পর্যমত্ম কি কি সেবা পেতে শুরম্ন করেছে?
৪. এপর্যমত্ম কতগুলো সহজসাধ্য উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে?
৫. কতোগুলো সহজসাধ্য উদ্যোগ বাস্তবায়নের কাজ চলছে?
৬. আগামীতে কি কি সহজসাধ্য উদ্যোগ হাতে নেয়া হবে?
৭. সহজসাধ্য উদ্যোগ বাস্তবায়নে এটুআই প্রকল্পের ভূমিকা কী?
ঝ. সচেতন ও দক্ষ জনশক্তি
১. ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সচেতন জনগোষ্ঠী কেন প্রয়োজন?
২. ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও সেবাগ্রহীতার মানসিকতা কীভাবে পরিবর্তন করা যাবে?
৩. ডিজিটাল বাংলাদেশের বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কে জনগণকে অবহিত বা সচেতন করার জন্য কী ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে?
৪. জাতীয় উদ্ভাবনী মেলা আয়োজন করার উদ্দেশ্য কী ছিল?
৫. ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে যুবসম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ কেন প্রয়োজন?
৬. যুবসম্প্রদায়কে দক্ষ করে তুলতে কী পদক্ষেপ নেয়া আবশ্যক?

 

মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রোম

সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে  মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রোম করা  হবে 

 আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালোই আছেন আমি আপনাদের দোয়া ভাল আছিআজকে আপনাদের  সামনে আলোচনা করবো মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রোম নিয়ে । শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু করা হবে ।



 তিনি বলেছেন, প্রযুক্তির কল্যাণে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের যে বিপ্লব শুরু হয়েছে তাতে অচিরেই দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্লাসরুমকে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমে উন্নীত করা হবে। সোমবার (২ জুন, ২০১৫) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কবরী হলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন। 

 শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে হলে আগে শিক্ষকদের গুণগত পরিবর্তন দরকার মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু শিক্ষক শিক্ষা ও শিক্ষকতায় কলঙ্ক সৃষ্টি করছেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  এসময় মন্ত্রী শিক্ষকদের পেশায় ও নৈতিকতার দিক থেকে সাবধান হওয়ার আহ্বান জানান। 
মন্ত্রী বলেন, আধুনিক বাংলাদেশ গড়তে হলে তরুণদের আলোকিত করতে হবে। আমাদের তরুণ প্রজন্ম মেধার দিক থেকে দরিদ্র নয়। যেকোনো পরিস্থিতি, বাস্তবতা মোকাবেলা করার স্বক্ষমতা তাদের রয়েছে। 
কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পিঠে বইয়ের বোঝা নিয়ে অভিভাবক, শিক্ষানুরাগীদের সমালোচনা প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, নতুন নতুন জ্ঞানের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে জ্ঞানের পরিধিও বেড়েছে। পাঠ্যসূচিতে সেসব যোগ হচ্ছে। ফলে বইয়ের বোঝা কমানো কঠিন।    
তাই শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগামী ২০১৬ সাল থেকেই ষষ্ঠ শ্রেণির সব শিক্ষার্থীকে ট্যাব দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। বইয়ের বোঝা কমাতে এ উদ্যোগ কার্যকর হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন শিক্ষামন্ত্রী।
 
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী যখন ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছিলেন তখন অনেকেই এ নিয়ে কৌতুক করেছেন। দলের উচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত নেতাকর্মীদের ধারণাই ছিলো না ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্পর্কে। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যদিয়ে বর্তমানে আজ দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার আজ সেবায় পরিণত হয়েছে।

একদিন দেশের প্রতিটি স্কুল-কলেজের প্রতিটি ক্লাসরুম মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমে রূপান্তরিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।    

২০১২ সালের ২০ মে আনুষ্ঠানিকভাবে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ব্যবহার করে সারাদেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা নিয়মিত পাঠদান করে আসছে। 

তথ্য-প্রযুক্তিতে শিক্ষা নয়, বরং শিক্ষায় তথ্য-প্রযুক্তি’- এই স্লোগান সামনে রেখে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য শ্রেণি কার্যক্রম আরও আকর্ষণীয়, আনন্দময় ও কার্যকর করার লক্ষ্যে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমস্থাপন করা হয়। 

 
একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের কারিগরি সহযোগিতায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের ২৩ হাজার ৩৩১টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ৪ হাজার ৫০০টি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করেছে। পাশাপাশি প্রায় ৮০ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষক প্রশিক্ষকগণকে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ও ডিজিটাল কনটেন্ট বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিয়েছে। 
 
শিক্ষকরাই শিক্ষার্থীদের উপযোগী  কনটেন্ট তৈরি করে ক্লাসে ব্যবহার করছেন। শিক্ষকদের তৈরি কনটেন্টগুলো ডিজিটাল কনটেন্ট, ভিডিও, অ্যানিমেশন  ‘শিক্ষক বাতায়ন’ (teachers.gov.bd) নামের শিক্ষা পোর্টালে আপলোড করা হয় এবং একজন শিক্ষকের কনটেন্ট অন্য শিক্ষকরা সহজেই সংগ্রহ ও ব্যবহার করছেন। 
 
শিক্ষক বাতায়নে ৬০ হাজারেরও বেশি সদস্য শিক্ষক এবং ৪০ হাজারের বেশি ডিজিটাল কনটেন্ট রয়েছে। এছাড়া মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম অনলাইনে ম্যানেজমেন্ট, মনিটরিং ও মেনটরিং করার জন্য মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমনামে একটি অনলাইন ড্যাশবোর্ড (mmc.e-service.gov.bd) তৈরি করা হয়েছে। 

অনুষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম পরিচালনায় নেতৃত্ব, জেলার সব মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে নিবন্ধন, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, কর্মশালার আয়োজন এবং মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম নিয়মিত মনিটরিং ও মেনটরিংসহ শিক্ষায় তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশে অসামান্য অবদান রাখার জন্য পঞ্চগড় জেলার জেলা প্রশাসক, কুষ্টিয়া জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা), গোপালগঞ্জ, সাতক্ষীরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বগুড়া ও সিলেট জেলার জেলা শিক্ষা কর্মকতা, রংপুর টিচার্স ট্রেনিং কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ, ময়মনসিংহ ও ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজের একজন শিক্ষক প্রশিক্ষককে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম অ্যাওয়ার্ড ২০১৫দেওয়া হয়।  
 
এছাড়াও মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট প্রতিযোগিতা ২০১৪-এর বিজয়ী ৩৪ জন শিক্ষক ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম সফলভাবে পরিচালনার জন্য জেলা পর্যায়ের ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় প্রথম পুরস্কারপ্রাপ্ত ৬৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে বর্ষসেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২০১৫হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।    
 
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) ও এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ারের সভাপতিত্বে বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম খান এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মেছবাহ উল আলম। 
 
এটুআই প্রোগ্রামের পলিসি এডভাইজর আনীর চৌধুরীসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং এটুআই প্রোগ্রামের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।